কক্সবাজার, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারকে পর্যটকবান্ধব করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের মাস্টারপ্ল্যান

 

কক্সবাজারকে পর্যটকবান্ধব করতে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন। পর্যটকরা কক্সবাজারে এসে যাতে কোন হয়রানির শিকার না হয়েই আবার নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সে লক্ষ্যে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব খাতকে ট্যুরিস্ট পুলিশের মাস্টারপ্ল্যান এর আওতায় আনা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার(১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের সম্মেলন কক্ষে সর্বশেষ ১০টি পরিকল্পনার কথা ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীদের জানায় ট্যুরিস্ট পুলিশ।

পরিকল্পনা গুলো এবং ব্যাখ্যা নিম্নরূপ:

১।পর্যটন সম্পর্কিত সকল সেবা একই ওয়েব পোর্টালে প্রকাশঃ এ পরিকল্পনার মাধ্যমে সকল হোটেল-মোটেলগুলোকে পোর্টালের আওতায় আনা হবে। যেখানে উল্লেখ থাকবে ভাড়াসহ সকল সুযোগসুবিধা। ফটোগ্রাফার, গাড়িচালক, পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল সেবা পাওয়া যাবে এক ক্লিকেই।

২। অটো/সিএনজি চালকদের আলাদা পোশাক,আইডি কার্ড ও ভাড়া নির্ধারণ পূর্বক পর্যটক বান্ধব করাঃ পর্যটন এলাকার সকল সিএনজি, অটোরিকশা, রিকশা সহ সকল যানবাহনের ড্রাইভারকে একটা পোশাকের আওতায় আনা হবে। গাড়িগুলোতে লিখা থাকবে পর্যটকবান্ধব গাড়ি, এবং ড্রাইভারদের পোশাকে লিখা থাকবে পর্যটকবান্ধব চালক।

৩। হোটেল মোটেল জোনে স্থানীয় কিশোরদের প্রবেশ সীমিত করাঃ রাত ৮ টার পরে হোটেল-মোটেল জোনে কোন প্রয়োজন ছাড়া ঘোরাফেরা করতে পারবে না। ঘোরাফেরা করলে ট্যুরিস্ট পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।

৪। পর্যটন সম্পর্কিত সকল স্টক হোল্ডারদের আইডি কার্ড ব্যবহার নিশ্চিত করাঃ হোটেল-মোটেল থেকে শুরু করে সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত পর্যটক খাতের সেবার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন সবাইকে কার্ড ব্যবহার করতে হবে। অন্যতায় ট্যুরিস্ট পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।

৫। বাসসহ সকল পরিবহনে পর্যটক সচেতনতায় স্টিকার লাগানোঃ বাসে উঠার পর পর্যটকরা যেন ভালো একটা ধারণা পায় তার জন্য বিভিন্ন সচেতনতামূলক স্টিকার গাড়িগুলোতে টাঙানো থাকবে এবং গাড়ির চালক এবং হেল্পাররা তা পর্যটকদের বুঝিয়ে দিবেন।

৬। সকল স্টক হোল্ডারদের ডাটাবেজের আওতায় আনাঃ পর্যটন খাতের সাথে যারাই জড়িত আছে সবাইকে ডাটাবেজের আওতায় আনা হবে। যাতে পর্যটকরা ঢুকেই সব তথ্য পায়।

৭। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কিশোর গ্যাং ও ছিনতাই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাঃ পর্যটকরা যেন কোন ছিনতাইয়ের শিকার না হয় সে লক্ষ্যে সবসময় ট্যুরিস্ট পুলিশ কিশোর গ্যাং এবং ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে।

৮। বীচ হারানো ও দলছুট শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র স্থাপনঃ অনেক সময় পর্যটকরা অসচেতন হয়ে হাজারো পর্যটকদের ভিড়ে তার শিশু সন্তানদের হারিয়ে ফেলে। তাদের ট্যুরিস্ট পুলিশ সহায়তা করতে চাইলে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যার কারণে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র করা হচ্ছে যেখানে শিশুদের নিরাপদে পরিচর্যা করা হবে এবং পরবর্তীতে অভিভাবককে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

৯। ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টার স্থাপনঃ সমুদ্র সৈকতে বাচ্চা শিশুদের নিয়ে ঘুরতে আসেন অনেক মা। তারা সন্তানদের গর্বের দুধ খাওয়াতে অনেক সমস্যায় পড়েন কারণ সৈকতে সবসময় পর্যটকের ভিড় থাকে। যার কারণে মা পর্যটকদের এ সমস্যা সমাধানে ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টার স্থাপন করা হবে।

১০। ফটোগ্রাফার/অটোচালক/কিটকট বয়দের নিয়মিত প্রশিক্ষণঃ পর্যটকদের সাথে কিভাবে আচরণ করতে হবে এবং সেবা দিতে হবে তা শেখাতে হাতে কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে ফটোগ্রাফার/অটোচালক/কিটকট বয়দের এবং তা চলমান থাকবে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের পুলিশ জিল্লুর রহমান বলেন, পর্যটকরা যাতে কক্সবাজারে এসে অবাধ বিচরণ করতে পারেন, সমুদ্র দর্শন করতে পারেন তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার। যার জন্য সকলের সহায়তা প্রয়োজন।

পাঠকের মতামত: